বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ব্যবসায় উন্নতিতে বিচার ব্যবস্থায় সংস্কার দরকার’

  •    
  • ৩ এপ্রিল, ২০২১ ২৩:০৭

‘সরকার গৃহীত বে টার্মিনাল, মাতারবারি গভীর সমুদ্র বন্দর, কক্সবাজার ২য় বৃহত্তম এয়ারপোর্ট, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল যোগাযোগসহ পদ্মা সেতুর মতো এই বৃহৎ প্রকল্পগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন হলে আমাদের অর্থনীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন পরিলক্ষিত হবে।’

ব্যবসা সহজীকরণ সূচকে উন্নতি করতে বিচার ব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান।

শনিবার ‘বাংলাদেশের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা: ব্যবসা পরিচালন সূচকে অন্যতম অনুষঙ্গ’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এই ওয়েবিনারের আয়োজন করে।

উন্নয়ন সত্ত্বেও কেন জরিপে কম পয়েন্ট পায় তার ব্যাখ্যা দিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, সরকার অনেক সময় বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সত্ত্বেও ব্যাংক, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট মহলের কাছে তা যথাসময়ে না পৌঁছানোর কারণে জরিপের সময় বাংলাদেশকে কম পয়েন্ট পেতে হয়। এতে সংস্কার করেও তেমন লাভ হয় না। তিনি এ জন্য যে কোনো সংস্কারের সংবাদ দ্রুততম সময়ে ব্যবসায়ী মহলসহ সব স্তরে অধিক প্রচারের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।

ওয়েবিনারে সাত্তার অ্যান্ড কোং-এর প্রধান মো. সামির সাত্তার মূল প্রবন্ধে কোম্পানিগুলোর বাণিজ্য বিরোধ নিষ্পত্তির সময়সীমা কমানোর লক্ষ্যে ‘সিভিল প্রসিডিউর কোড (সিপিসি)’-এর সংস্কার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মামলার ক্ষেত্রে ই-ফাইলিং প্রক্রিয়া ও কোর্ট ফি প্রদানের ক্ষেত্রে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থার প্রবর্তন, ইলেকট্রনিক কেইস ম্যানজেমেন্ট প্রভৃতি চালু এবং দেউলিয়ার বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে রেগুলেটরি ফ্রেমওয়ার্ক গঠনেরও পরামর্শ দেন তিনি।

আর স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআই সভাপতি রিজওয়ান রাহমান জানান, বাংলাদেশে বাণিজ্য বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তিতে সাধারণত প্রায় চার বছর সময় লেগে যায়। তবে বিশ্বের অনেক দেশ বাণিজ্য বিষয়ক আইনী প্রক্রিয়ার এ ধরনের দীর্ঘসূত্রতা হ্রাসকরণে সংশ্লিষ্ট আইনের যথাযথ প্রয়োগ, কোর্ট কার্যক্রমের অটোমেশন, ইলেকট্রনিক পেমেন্ট সিস্টেমের প্রবর্তন, বিশেষায়িত বাণিজ্যিক কোর্ট চালুকরণ এবং এডিআর কার্যক্রমের সম্প্রসারণের ওপর অধিক হারে জোর দিয়েছে।

২০১৯ সালে প্রকাশিত ‘বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সূচক’-এ বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৫ উল্লেখ করে তিনি আগামীতে এই প্রতিযোগিতার সক্ষমতার সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান উন্নয়নে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণে উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন।

এসব প্রস্তাব ও পরামর্শের বিষয়ে সালমান এফ রহমান নিজেও ব্যবসা সূচকে উন্নতি করতে ‘মামলার সময় ব্যবস্থাপনা’ উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। বলেন, মামলা পরিচালনার দীর্ঘসূত্রতা নিরসন জরুরি।

বিডা’র ওএসএস সেবা পুরোদমে চালু হলে ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনা আরও সহজতর হবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।

বিনিয়োগ বিষয়ক এই উপদেষ্টা জানান, ‘সরকার গৃহীত বে টার্মিনাল, মাতারবারি গভীর সমুদ্র বন্দর, কক্সবাজার ২য় বৃহত্তম এয়ারপোর্ট, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল যোগাযোগসহ পদ্মা সেতুর মতো এই বৃহৎ প্রকল্পগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন হলে আমাদের অর্থনীতিতে যুগান্তকারী পরিবর্তন পরিলক্ষিত হবে।’

ওয়েবিনারে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনভেস্টমেন্ট বিভাগের মহাব্যবস্থাপক জগন্নাথ চন্দ্র ঘোষ, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) পরিচালক জীবন কৃষ্ণ সাহা রায়, জেট্রো বাংলাদেশের প্রতিনিধি কাজিমুরি ইয়ামাডা, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ এর চেয়ারম্যান এবং সিইও আহসান খান চৌধুরী ও ওরিক্স বায়ো-টেক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডেভিড বাও যোগ দেন।

এ বিভাগের আরো খবর